শোক বার্তা
পিএইচডি তে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট!
আমাদের সহকর্মী অর্পিতা রায় ( এক্স ঢাবি মাইক্রোবায়লজি) গতকাল নিউজিল্যান্ডের ওটাগোতে স্ট্রোকজনিত কারনে মৃত্যুবরন করেন! আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। এ তরুন সহকর্মী যার ত্রিশের ঘরে বয়স, এখনো অবিবাহিত। ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইডি অধ্যয়নরত।এ মৃত্যু আমাদের জন্য মেনে নেয়া অত্যন্ত কঠিন ও হৃদয়বিদারক!
আমরা নিশ্চিত নই পিএইচডির স্ট্রেসজনিত কারনে এই স্ট্রোক কিনা। তবে পিএইচডির চাপ সামলাতে না পেরে অনেকে অকালে মারা যায়। আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে প্রচুর। বিশেষত কোরিয়া, চীন, জাপানে। ওদের মিডিয়া এসব খবর প্রকাশ করতে চায়না।
গবেষণার চাপ ও প্রত্যাশিত ফল না পেয়ে কোরিয়ার এক বিখ্যাত প্রফেসর উঁচু ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। অনেকে সলিলে সমাধি নিয়েছেন সিউলের হান নদীতে। এসব খবর পত্রিকায় আসেনি। আমি যখন আমার প্রফেসরকে এ সংবাদ জানাই তখন সে বরং অবাক হলো কিভাবে আমি তা জানলাম। বছরখানেক আগেই চাইনিজ প্রফেসরের চাপ সামলাতে না পেরে যুক্তরাষ্ট্রের একজন আত্মহত্যা করে।
প্রফেসরদের উপর ও প্রজেক্ট শেষ করার, ডেডলাইনের প্রেশার থাকে। তাই তারা ছাত্রদের ছুটির দিনেও কাজ করতে বলে। তবে তাদের সব কথা শোনা যাবেনা। ছুটির দিন / উইকেন্ড বিশ্রাম নিতে হবে বা ঘুরতে যেতে হবে।
শুধু পাবলিকেশন/ সাইটেশন এগুলো জীবনের সব নয়। জীবনকে ভারসাম্যপূন্যের মধ্যে উপভোগ করাটাই আরো বড় বিষয়। আমাদের তরুন গবেষক / পিএইচডি অধ্যয়নরতদের এ চর্বিতচর্বন পুরনো কথাটা স্মরন করিয়ে দিতে এ ক্ষুদ্র প্রয়াস!
অর্পিতা রায়ের আত্মার শান্তি কামনা করছি। ওর পরিবারকে সমবেদনা জানানোর ভাষা জানা নেই!